এবার ঈদ উদযাপনে ঘরে ফিরছে মানুষ। আজ মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) ভোর থেকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের বঙ্গবন্ধু সেতু থেকে কালিহাতী উপজেলার পৌলী পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার সড়কে থেমে থেমে জটলার সৃষ্টি হয়েছে। অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ এবং কয়েকটি গাড়ি বিকল হওয়ার কারণে এ জটলার সৃষ্টি হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এ মহাসড়কে দূরপাল্লার গণপরিবহনের পাশাপাশি মোটরসাইকেল ও ব্যক্তিগত যানবাহনও বেড়েছে। এছাড়া খোলা ট্রাক, বাস ও পিকআপ করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গন্তব্যে পৌঁছাচ্ছে অনেককেই। তবে একেবারে যানজটে পড়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে না ঘরমুখো মানুষদের।
এদিকে বঙ্গবন্ধু সেতু টোৱপ্লাজা সূত্র জানায়, রোববার রাত ১২টা থেকে সোমবার রাত ১২টা পর্যন্ত ৪৩ হাজার ৪২৭টি যানবাহন বঙ্গবন্ধু সেতু পারাপার হয়েছে। এদিকে পুলিশ জানায়, ভোরে মহাসড়কের বিভিন্নস্থানে কয়েকটি যানবাহন বিকল হওয়া এবং অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ থাকায় জটলার সৃষ্টি হয়।
এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মীর সাজেদুর রহমান বলেন, রাতে সেতুর ওপর দুর্ঘটনা ঘটেছিল, যার ফলে টোল বন্ধ ছিল। তাতেই গাড়ির চাপ বেড়ে জটলার সৃষ্টি হয়েছে। এখন ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে চলেছে।
এদিকে ভোর থেকে রাজধানী ছাড়ার বিভিন্ন পয়েন্টে তৈরি হয়েছে গাড়ির জটলা। চালক-যাত্রীদের অভিযোগ ঢাকায় ঢুকতে বা বের হতে লম্বা সময় ধরে সিগন্যালে আটকে থাকতে হচ্ছে। যদিও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা।
গতকাল সোমবার দুপুরের পর গাজীপুরের বিভিন্ন পোশাক কারখানা ছুটি হওয়ায় বিকেলের দিকে শ্রমিকদের স্রোত নামে মহাসড়কে। যাত্রীদের পাশাপাশি সড়কে বাসের সংখ্যাও বাড়তে থাকে, বাড়তে থাকে যানজটও। এতে করে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা এলাকায় তৈরি হয় যানবাহনের দীর্ঘসারি। যা পরে আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হয়।